30.9.11

মন বা হৃদয় / Heart কি ?

"হৃদয়"এই শব্দটি হৃতপিন্ডের সমার্থক হলেও চিকিত্সা বিজ্ঞান অনুযায়ী আমাদের আবেগ - অনুভূতির উত্স হৃত্পিণ্ড নয় । তবু মন বা হৃদয়ের অবস্থান যুগ যুগ ধরে আমরা বুকেই জেনে এসেছি কেন । এ বিষয়ে মনস্তত্বের ইতিহাস থেকে বিচার করলে দেখা যায় , প্রাণের অস্তিত্ব মানুষ প্রথম অনুভব করে হৃত্পিন্ডের স্পন্দনে ।মানুষ মারা গেলে এই স্পন্দন বন্ধ হয়ে যায় ।এই ধরনের একটা বোধ থেকেই প্রাণ - আত্মা - মন আছে বুঝতে পারি । কিন্তু উপস্তিতিটা কোথায় বুঝতে পারিনা । তাকে মানুষ বুকের ভেতর আছে বলেই ধরে নিতে শুরু করে । যদিও হৃত্পিন্ডের কাজ হল সারা শরীর থেকে রক্ত নিয়ে আবার সারা শরীরে ছড়িয়ে দেয়া এবং ইতিমধে ফুসফুসের দুষিত রক্তকে বাইরে পাতিয়ে দূষণ মুক্ত করা । এই ভাবে হৃত্পিণ্ড শরীরের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখে । অন্যদিকে হৃদয়ের বা মনের কাজই হল ভাবনার আদান - প্রদানের মাধ্যমে অন্য একজন বা অন্য এক হৃদয়ের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন করা । সেদিক থেকে মিল থাকার ফলেও "হৃদয়" এই ধারণা ও "হৃত্পিণ্ড" এই শারিরী অঙ্গটির স্থান শরীরের একই জায়গায় হয়ে গেছে । তাই এখনো ভালবাসার সংকেত "পান" আকৃতির হৃদয় , যার আকৃতি কিছুটা বাস্তব হৃত্পিন্ডের সঙ্গে মিলে

সুতরাং আপনাদের মনে প্রশ্ন দেখা দেবে ,তাহলে আমাদের প্রেম - ভালবাসার চিকিত্সা বিজ্ঞান উত্স কি ? ভাষান্তরে বলতে হয় আমাদের "হৃদয়ের" কাজ করে সরীরের কোন অংশটি ? এ - প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় , সারা পৃথিবীর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বজায় থাকে স্নায়ুতন্ত্র ও মস্তিস্কের মাধ্যমে প্রেম বা ঘৃনা এসবই আবেগ এবং অভিজ্ঞতা মাত্র । তাই হৃদয়ের এইসব অনুভূতির জন্ম শুধু মস্তিস্কের একটি জায়গা নয় , বরং বিভিন্ন অংশের একটা সামগ্রিক ক্রিয়ার ফল । আমাদের মস্তিস্কের নানা ভাগে রয়েছে --- সেরিব্রাম , সেরিবেলাম , ব্রেনস্টেম ইত্যাদি । মস্তিস্কের বাইরে গ্রে-মেটার ও ওয়াইট মেটার রয়েছে । ভেতরেও অবশ্য কিছু কিছু জায়গায় গ্রে-মেটার থাকে । গ্রে-মেটার যেখানে রয়েছে সেখানে নিউরন সেলের প্রাধান্য বেশি । সেরিব্রাম ব্রেনের সবচেয়ে বড় অংশ । এর পর সেরিবেলাম । সেরিবেলামের সঙ্গেও আবেগের সম্পর্ক আছে । সেরিব্রামের ভেতরে , কিছুটা নিচের দিকে লিম্বিক সিস্টেম বলে একটা অংশ আছে । অবশ্য বাইরেও কিছুটা লিম্বিক সিস্টেম রয়েছে । এই লিম্বিক সিস্টেম সকল আবেগের উত্স । তবে হৃদয়ের বিকল্প হিসাবে শুধুমাত্র লিম্বিক সিস্টেমকে চিহ্নিত করা যায় না । যেমন কোন একটি পুরুষকে দেখে কোন নারীর হৃদয়ে প্রেমের সঞ্চার হল । এই প্রেম - আবেগটি লিম্বিক সিস্টেমজাত কিন্তু আবেগের উত্স পুরুষটিকে যখন আমরা আরো বিস্তৃতভাবে বুজতে যাই , তখন কিন্তু সেরিব্রাল কর্টেক্সের ভুমিকা থাকে । ভিড় থেকে স্বতন্ত্র হয়ে একজন যে ছুয়ে গেল , একজনের হৃদয় এ বাপ্যারটা কিন্তু সেরিব্রাম এর কাজ । এখন কেউ একজন যদি কারো হৃদয়ে দোলা দিয়ে গেল তার ফলে সে মানুষটার হৃত্স্পন্দন বেড়ে গেল । রোমান্স হচ্ছে এসবের প্রেক্ষিতে লিম্বিক সিস্টেমের একটা অংশ ক্রিয়াশীল । সেই অংশটিকে হায়পথালামাস বলা হয় । সেটি অটোনমাস নার্ভাস সিস্টেমের মাধ্যমে আবেগের অভিবেক্তিগুলো সরিরে ছড়িয়ে দেয় । যার ফলে হাত ঘামতে থাকে , চোখ বিস্ফরিত হয় । বুকের ভেতর দক দক করে । হৃদয়ে ভাল বা ঘৃনা লাগার কিংবা সুখ বা যন্ত্রণার মোচড়ের কারণও লিম্বিক সিস্টেমের মধ্যের কতগুলো জায়গা । যেগুলোকে চিকিত্সা বিজ্ঞানের পরিভাষায় বলা হয় প্লেজার বা রিওয়ার্ড সেন্টার এবং ডিসপ্লেজার বা পানিশমান্ট সেন্টার । ইলেক্ট্রোড দিয়ে সংবেদন পাঠিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে এইসব কেন্দ্রগুলোকে । ধরা যাক একটি মেযের প্রেমিক সুন্দর একটা শার্ট পরে এলো । তাকে দেখেই মায়েটার হৃদয় নিশ্চয়ই ভরে যাবে সুখে । আমাদের লিম্বিক সিস্টেমের মধ্যে মিডিয়াম ফোর ব্রেন বান্ডল বলে একটা অংশের ভেতর সেপ্টাল এরিয়া নামক অংশটিতেই আনন্দ কেন্দ্র বা প্লেজার সেন্টারের অবস্থান
হাইপোথালামাস এর ভেতরে কিন্তু একটা জায়গা সেখানে ডিসপ্লেজার বা দুঃখদায়ক কেন্দ্র আছে । পছন্দের পুরুষ বা নারীকে বিপরীত লিঙ্গের অন্য কারো সাথে কথা বলতে দেখলে হৃদয়ে যে যন্ত্রণার মোচড় দেবে তাও এখান থেকে ।এরপর প্রশ্ন এসে যায় প্রেম হবার পর হৃদয়ে যখন কামনা জাগে তার উত্স কি ?
হাইপোথালামাস মূলত স্পর্শের পরের বাপারগুলো সিম্পাতেটিক নার্ভাস সিস্টেমের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করে যৌন হরমন ক্ষরন করায় ; হৃত্স্পন্দন বেড়ে যায় । কিন্তু সেরিব্রাল কর্টেক্স যৌন কামনাকে আটকাতে চায় , অন্যদিকে টেম্পোরাল লোবস্থিত লিম্বিক সিস্টেম ও টেম্পোরাল লোবের অনান্য অংশ এই এই কামনাকে এগিয়ে যেতে নির্দেশ দেয় । কারণ দেখা গেছে টেম্পোরাল লোবের কিছু অংশ বাদ দিলে বিকৃত যৌন ইচ্ছা জাগে । অতএব বলা যায় "হৃদয়" আছে মস্তিস্কের লিম্বিক সিস্টেমে । কারণ হৃদয়জাত অনুভূতির জন্যে হৃতপিন্ডে প্রভাব পড়লেও সকল আবেগের উত্স "হৃদয়" আসলে মস্তিস্কের লিম্বিক সিস্টেম । তাই বিজ্ঞান অনুযায়ী মন বা হৃদয় বলে কিছু নেই , সব হলো থকথকে একপিন্ড মস্তিস্কের কারসাজি । কিন্তু মন মানতে চায় না । কাব্য , সাহিত্য , সঙ্গীতে আমাদের হৃদয়ের জয়গান গাওয়া হয়েছে । অতএব এক কথায় সেই হৃদয়ের অস্তিত্ব মাথায় নিয়ে চলে গেলে বেপারটা কেমন ইতিহাসকে অগ্রাহ্য করার মত ধৃষ্টতা হয়ে যায় না ? অতএব হৃদয়কে বুক থেকে ছাড়িয়ে লিম্বিক সিস্টেমে নিয়ে যেতে কিছুতেই আমাদের মন সায় দেয় না । তাই বলতে ইচ্ছে করে , 
  'ও বেটা মারুক , যে বলে মন থাকে শক্ত মাথায় 
আমার হৃদয় থাকে রক্তে , পাঁজরে , বুকের শিরায় শিরায় '


উইকিপিডিয়া এর ভাষায় ভালবাসা

ভালবাসা একটি মানবিক অনুভূতি এবং আবেগকেন্দ্রিক একটি অভিজ্ঞতা। বিশেষ কোন মানুষের জন্য স্নেহের শক্তিশালী বহিঃপ্রকাশ হচ্ছে ভালবাসা। তবুও ভালোবাসাকে বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভাগ করা যায়। আবেগধর্মী ভালবাসা সাধারণত গভীর হয়,বিশেষ কারো সাথে নিজের সকল মানবীয় অনুভূতি ভাগ করে নেয়া, এমনকি শরীরের ব্যাপারটাও এই ধরনের ভালবাসা থেকে পৃথক করা যায়না। ভালবাসা বিভিন্ন রকম হতে পারে, যেমন: নিস্কাম ভালবাসা , ধর্মীয় ভালবাসা , আত্মীয়দের প্রতি ভালবাসা ইত্যাদি। আরো সঠিকভাবে বলতে গেলে, যে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুর প্রতি অতিরিক্ত স্নেহ প্রায় সময় খুবই আনন্দদায়ক হতে পারে...এমনকি কোন কাজ কিংবা খাদ্যের প্রতিও। আর এটাই অতি আনন্দদায়ক অনুভূতিই হলো ভালবাসা

সংজ্ঞা

ভালোবাসার সংজ্ঞা বিতর্ক,অনুমান এবং অর্ন্তদর্শনের উপর প্রতিষ্ঠিত। অনেকেই ভালোবাসার মত একটি সর্বজনীন ধারণাকে আবেগপ্রবণ ভালোবাসা, কল্পনাপ্রবণ ভালোবাসা কিংবা প্রতিশ্রুতিপূর্ণ ভালবাসা এসব ভাগে ভাগ করার পক্ষপাতী নন। তবে এসব ভালোবাসাকে শারীরিক আকর্ষণের ওপর ভিত্তি করে শ্রেণীবিন্যাস করা যেতে পারে। সাধারণ মতে, ভালোবাসাকে একটি ব্যক্তিগত অনুভূতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়, যেটা একজন মানুষ অপর আরেকজন মানুষের প্রতি অনুভব করে। কারো প্রতি অতিরিক্ত যত্নশীলতা কিংবা প্রতিক্ষেত্রে কারো উপস্থিতি অনুভব করা ভালোবাসার সাথেই সম্পর্কযুক্ত। অধিকাংশ প্রচলিত ধারণায় ভালোবাসা, নিঃস্বার্থতা, স্বার্থপরতা, বন্ধুত্ব, মিলন, পরিবার এবং পারিবারিক বন্ধনের সাথে গভীরভাবে যুক্ত।
ভালোবাসার সাধারণ এবং বিপরীত ধারণার তুলনা করে ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে ভালোবাসাকে জটিলভাবে বিচার করা যায়। ধনাত্নক অনুভূতির কথা বিবেচনা করে ভালোবাসাকে ঘৃণার বিপরীতে স্থান দেয়া যায়। ভালোবাসায় যৌনকামনা কিংবা শারীরিক লিপ্সা একটা গৌণ বিষয়। এখানে মানবিক আবেগটাই বেশী গুরুত্ববহন করে। কল্পনাবিলাসীতার একটা ক্ষেত্র হচ্ছে এই ভালোবাসাভালবাসা সাধারণত শুধুমাত্র বন্ধুত্ব্ব নয়। যদিও কিছু সম্পর্ককে অন্তরঙ্গ বন্ধুত্ব বলেও অবিহিত করা যায়।

25.9.11

প্রেম কত প্রকার ও কি কি ?

প্রথমত প্রেমকে ৫ ভাগে ভাগ করা যায় , যেমন : 

১। একচ্যুয়েল প্রেম বা সত্যিকারের প্রেম (Actual / True Love)
২। ফেইক প্রেম বা ভুয়া প্রেম (Fake Love) 
৩। সেক্সুয়েল বা যৌন তাড়িত প্রেম (Sexual  Love)
৪। কর্মাসিয়্যাল (Commercial Love )
৫।  ডিজিটাল প্রেম ( Digital Love)
৬। ব্যর্থ প্রেম ()

শ্রেনীবেধে আবার এই প্রকার প্রেমকে নিম্নোক্ত ৩৬ ভাগে বিভক্ত করা যায় :
১। একচ্যুয়েল প্রেম বা সত্যিকারের প্রেম (Actual / True Love)

.) প্রথম প্রেম : জীবনের প্রথম প্রেম সবার কাছেই স্মরনীয় হয়ে থাকে প্রথম প্রেমের কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই তবে অনেকের ক্ষেত্রেই খুব কম বয়সে প্রথম প্রেম এসে থাকে প্রথম প্রেম বেশিরভাগ সময়ই আদতে প্রেম হয়না, সেটা হয়ে থাকে Infatuation প্রথম প্রেম হতে পারে কোন বাল্য বন্ধু, হতে পারে গৃহশিক্ষক বা স্কুলের শিক্ষক বা শিক্ষিকা, হতে পারে বয়সে বড় কোন আপু, হতে পারে কোন ফিল্মের নায়ক বা নায়িকা, হতে পারে পাড়ার কোন হ্যান্ডসাম তরুনী বা বড়ভাই। কারো কারো ক্ষেত্রে আবার জীবনের প্রথম প্রেমই একমাত্র প্রেম

.) প্রথম দেখায় প্রেম/Love at First side  : প্রথম দেখাতেই এই ধরনের প্রেমের সূত্রপাত ধরনের প্রেম অনেক ক্ষেত্রেই একতরফা হয়। ছেলেদের ক্ষেত্রে ধরনের প্রেম বেশি দেখা যায় প্রথম দেখাটা হতে পারে কোন বিবাহ অনুষ্ঠানে, শপিং মল, কলেজ, ভার্সিটি, কোচিং সেন্টারে, স্যারের বাসায়, বন্ধুর আড্ডায় এমনকি বন্ধুর মোবাইলে ছবি দেখেও ধরনের প্রেমের শুরু হতে পারে ধরনের প্রেমে প্রায় অবধারিতভাবেই তৃতীয় পক্ষের (বন্ধুকূল বা বড়ভাই) সাহায্যের দরকার পরে ধরনের প্রেমের সূত্রপাতে রূপ সৌন্দর্য্য দৈহিক সৌন্দর্য্যের ভুমিকাই বেশি

.) বন্ধুত্ব থেকে প্রেম : এই ধরনের প্রেমের ক্ষেত্রে প্রেমিক প্রেমিকা দু'জনেই প্রথমে বন্ধু থাকে আস্তে আস্তে বন্ধুত্ব কালের বিবর্তনে প্রেমে রূপ নিতে থাকে, অনেক সময়ই দু'জনেরই অজান্তে তবে আশেপাশের মানুষ (বিশেষত বন্ধুকূল) কিন্তু ঠিকই খেয়াল করে দুঃখজনকভাবে এধরনের প্রেম অনেক সময়ই অকালে ঝরে যায় কোন একতরফা সিদ্ধান্ত বা পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে অনেকে বন্ধুত্বের এই রূপান্তর মেনে নিতে পারেনা বলে অনুশোচনায় ভোগে - বিশেষত মেয়েরা

.) বিবাহোত্তর প্রেম : এই প্রেম শুধুমাত্র স্বামী স্ত্রীর মধ্যে দেখা যায় বিয়ের ঠিক পর পর প্রথম কয়েক মাস এই প্রেম প্রবল থাকে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের পূর্বপরিচিত নয় এমন দু'জনের মধ্যে এ্যারেন্ঞ্জ (Arrange) বিয়ে হলে এই ধরনের প্রেম প্রবল রূপে পরিলক্ষিত হয় প্রেম করে বিয়ে হলে সেক্ষেত্রে বিবাহোত্তর প্রেমে ভাঁটা পড়ে বলে একটি মতবাদ প্রচলিত আছে, কবে এর সত্যতা পরীক্ষিত নয় বিবাহোত্তর প্রেম ফলাতে হানিমুনের জুড়ি নেই

.) প্রেমময় প্রেম : এই প্রেমে প্রেমিক আর প্রেমিকা দু'জনেই একজন আরেকজনের দিকে প্রেমময় ভঙ্গিতে ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থাকেন, হাত ধরে বসে থাকেন কোন রেস্টুরেন্টের অন্ধকারাচ্ছন্ন অংশে, সারাক্ষণ I Love You বলে আর শুনেও ক্লান্তি আসে না তাদের সারাদিন প্রেমের পর মোবাইলে ১২টার পরও কম জান না তারা

.) অব্যক্ত প্রেম/না বলা প্রেম : নীরবে এক অপরকে ভালোবেসে গেলেও পরিস্থিতি, সময় বা মনোবলের অভাবে প্রেমিক বা প্রেমিকার মধ্যে কেউই একে অপরকে কোনোদিন বলেনি অব্যক্ত প্রেম হারানোর বেদনা খুব কষ্টদায়ক , জীবনের অন্যতম বড় ভুল হিসেবে মনে থাকে

.) অমিল প্রেম/দুনিয়াছাড়া প্রেম : এই প্রেমে প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে কথাবার্তা, মত, পছন্দ, অপছন্দ কোন দিক দিয়েই কোন মিল থাকেনা, তারপরও কিভাবে যেন সম্পর্ক টিকে থাকে

.) 'আজো তোমায় ভালোবাসি' প্রেম : এই প্রেমে প্রেমিক-প্রেমিকার বিচ্ছেদ ঘটেছে আগেই তবুও আজো তারা একে অপরকে ভালোবাসেন নীরবে চেয়ে যান সেই মানুষটির সঙ্গ যার সাথে একসঙ্গে জীবন কাটাতে পরিস্থিতিই ছিলো একমাত্র সবচেয়ে বড় বাধা
 
.) অপরিণত প্রেম/কম বয়সে প্রেম/না বুঝেই প্রেম : ধরনের প্রেম সাধারণত স্কুলে পড়ুয়া অবস্থায় হয়ে থাকে মেয়েরাই ধরনের প্রেমে বেশি পড়ে। তবে ছেলেরাও পড়ে প্রেমিক প্রেমিকাদের দু'জনই সমবয়সী হতে পারে তবে মেয়েদের ক্ষেত্রে প্রেমিক তার চেয়ে বয়সে বড়ও হতে পারে তবে ধরনের প্রেমের সাফল্যের হার কম - অর্থা ধরনের প্রেম বিয়ে পর্যন্ত গড়ায় খুব কম ক্ষেত্রেই

ঞ্জ.) অসমবয়সী প্রেম : ধরনের প্রেমের বৈশিষ্ট্য প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে বয়সের উল্লেখযোগ্য ব্যবধান যদিও মেয়ের চাইতে ছেলে কয়েক বছর বড় হলেও তা স্বাভাবিক প্রেম হিসেবে ধরা হয়, তথাপি, যদি পার্থক্য খুব বেশি হয় - যেমন ১২ বছর তবে তা অসমবয়সী প্রেম হিসেবে ধরা হয় মজার ব্যাপার হলো ছেলের চাইতে মেয়ে এক বছরের বড় হলেও তা অসমবয়সী প্রেম হয়ে হিসেবে ধরা হয় অসমবয়সী প্রেমকে সমাজে বাঁকা চোখে দেখা হয়, বিশেষত যদি মেয়ে ছেলের চাইতে বয়সে বড় হয় অসমবয়সী প্রেম বিয়েতে রূপ নিলে দাম্পত্য জীবন শান্তিপূর্ণ হয় না বলে একটি মতবাদ এদেষে প্রচলিত আছে, কিন্তু এর কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি

.) গুপ্ত প্রেম : একে অপরকে ভালোবাসে কিন্তু কেউই কাউকে বলছে না, পুরো ব্যাপারটাই লুকিয়ে যাচ্ছে এমন প্রেমই গুপ্ত প্রেম গুপ্ত প্রেম আজীবন গুপ্ত থেকে গেলে তা পরিণত হয় অব্যক্ত প্রেমে

.) পরবাসী প্রেম : ধরনের সম্পর্কের ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ের মধ্যে অন্ততঃ একজন বিদেশী হয় লংডিসটেন্স এর (Long Distance) প্রেমের সম্পর্ক খুবই কম টিকে থাকে

.) অসাম্প্রদায়িক প্রেম : ধরনের প্রেমের ক্ষেত্রে ছেলে মেয়ে দু'জনে দুই ধর্ম বা সম্প্রদায়ের অনুসারী হয়ে থাকে সমাজ ধরনের সম্পর্ককে সমর্থন করেনা বিশেষতঃ হিন্দু-মুসলমান ছেলে-মেয়ের মধ্যে প্রেম বেশি বিতর্কের সৃষ্টি করে

.) চাঞ্চল্যকর প্রেম/আলোচিত প্রেম : ধরনের প্রেমে প্রেমিক প্রেমিকা যাই করেন না কন তা মিডিয়ায় চাঞ্চল্যকর তথ্য হিসেবে প্রচার করা হয়। সাধারণত শো-বিজ আর মিডিয়ার তারকা সেলিব্রেটিরা ধরনের প্রেম করে থাকেন

.) ঐতিহাসিক প্রেম : এইসব প্রেমের কাহিনীর অবসান ঘটেছে অনেক আগেই কিন্তু আজো রয়ে গেছে ইতিহাসের পাতায় এখনো এসব প্রেমকে উদাহরণ হিসেবে দেখানো হয়

.) ঝগড়াটে প্রেম : সারাক্ষণ দু'জনের মধ্যে খিটির-পিটির লেগে থাকাটা এই প্রেমের বৈশিষ্ট্য কিছুক্ষণ হয়তো দু'জনে শান্ত থাকে, তারপর আবার কিছু না কিছু একটা নিয়একজন শুরু হয়ে যায় ধরনের প্রেমে ঝগড়াগুলো ক্ষণস্থায়ী হয়, কিন্তু খুব ঘনঘন হয় ঝগড়াগুলো অধিকাংশই হয় ফোনে। বন্ধুকূল সর্বদা দু'জনের ঝগড়া মিটাতে ব্যস্ত থাকে মেয়ে তার সখীদের কাছে এই ঘনঘন ঝগড়ার কথা বলে বেড়ায়  


২। ফেইক প্রেম বা ভুয়া প্রেম (Fake Love)

.) জেদের বশে প্রেম : পূর্ববর্তী বা বর্তমান বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডকে অনেকটা দেখিয়ে দেয়ার ("তুমি ছাড়াও আমার প্রেম করার লোকের অভাব নেই.......") উদ্দেশ্যে যাকে সামনে পাওয়া যাবে ধরে তার সাথে প্রেম করাই ধরনের প্রেমের মূল লক্ষ্য। মনের মতো লোক পাওয়ার বিষয়টি এখানে নগণ্য।

.) গায়ে পড়ে প্রেম/নাছোড়বান্দা প্রেম : মেয়ে কোন সম্পর্ক স্থাপনে আগ্রহী নয় তবুও ছেলে জোড় চেষ্টা চালিয়ে যায় এমন প্রেমে। অনেক সময়ই এমন পরিস্থিতিতে মেয়েরা সরাসরি না বলতে পারে না যার মাশুল তাদেরকে পরে দিতে হয়।

.) মিথ্যে প্রেম/অভিনয় প্রেম : ধরনের প্রেমে প্রেমিক বা প্রেমিকার দু'জনের যেকোন একজন প্রেমের অভিনয় করে যায়। যখন প্রেমিক বা প্রেমিকার কেউ একজন ভবিষ্যতের কথা ভাবতে আরম্ভ করে তখন এই প্রেমের সমাপ্তি ঘটে। ধরনের প্রেমের পরিণতিও যেকোন একজনের জন্য বই কষ্টদায়ক।

.) ঈর্ষাণ্বিত প্রেম : "অমুক ছেলে প্রেম করে, আমাকেও করতে হবে" বা "অমুকের বয়ফ্রেন্ড আছে,আমারো চাই" - অনেকটা এমনতর মানসিকতা থেকে এসব প্রেমের সূত্রপাত। ধরনের প্রেমগুলো অনেক সময়ই সাময়িক হয়ে থাকে। অধিকাংশ সময়ই বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ড মনের মতো না হলেও প্রয়োজনের তাগিদে সম্পর্ক চালিয়ে যাওয়া হয়।

.) ত্রিভূজ প্রেম : ধরনের প্রেমকে বলা যেতে পারে একজন মেয়েকে নিয়ে দু'জন ছেলের টাগ-অফ-ওয়ার বা দড়ি টানাটানি। একই মেয়ের প্রতি দু'জন ছেলের ভালোবাসা এই প্রেমের মূলকথা। উক্ত মেয়েকে পেতে দু'জন ছেলেই মরিয়া থাকে। ত্রিভূজ প্রেমের ক্ষেত্রে প্রায়শঃই মেয়েরা মানসিক দ্বন্দে ভোগে - কাকে পছন্দ করবে এই নিয়ে। অনেক সময়ই ছেলে দু'জনের মধ্যে প্রতিযোগিতা রূপ নেয় মারামরিতে। দু'জন মেয়ে আর একজন ছেলের মধ্যেও ত্রিভূজ প্রেম লক্ষিত হয়। তবে সেক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা মারামারিতে নয় বরং রূপ নেয় চুলোচুলিতে।

.) বহুভূজ প্রেম/Multi প্রেম : একই মেয়ে বা ছেলের প্রতি এর অধিক ব্যাক্তির অনুরাগই মূলতঃ বহুভূজ প্রেম। এক্ষেত্রে উক্ত মেয়ে বা ছেলেটি স্বভাবতই দৃষ্টিকাড়সৌন্দর্য্যের অধিকারী হয়ে থাকেন। সবাই তার সাথে প্রেম করতে চায় এই বিষয়টি তাকে ব্যাপক আনন্দ দেয়।

.) ২য় ইনিংস প্রেম/Old is Gold প্রেম/Revived প্রেম : পূর্ববর্তী বয়ফ্রেন্ড বা গার্লফ্রেন্ডের সাথে পুনরায় জুড়ে গিয়ে এই প্রেম করা হয় এটা আসলে প্রেম নয় টাইম পাস (Time Pass)


২। সেক্সুয়েল প্রেম যৌন তাড়িত প্রেম (Sexual  Love)

.) একরাতের প্রেম/One Night Stand: এগুলোকে প্রেম বললে পাপ হবে। ৯৫% ক্ষেত্রেই ছেলেরাই ধরনের প্রেমের আয়োজক। দৈহিক বাসনাকে পূর্ণতা প্রদান করাই এই প্রেমের প্রধান উদ্দেশ্য। উদ্দেশ্য পূরণের পূর্বে কিছু নাম মাত্র ডেটিং হতে পারে। উদ্দেশ্য পূরণের জনপ্রিয় স্থান: কোন হোটেল, খালি ফ্ল্যাট, সমুদ্রতীরবর্তী কোন শহর।
এই ধরনের প্রেমের মূলমন্ত্র হলো:
"আজকে না হয় ভালোবাসো, আর কোনোদিন নয়........"

.) শারীরিক প্রেম/শরীর সর্বস্ব প্রেম :  প্রেমিক প্রেমিকার মধ্যে শরীরি আকর্ষণই এই প্রেমের মূল উপাদান। আবেগ ততোটা গুরুত্বপূর্ণ নয় এই ধরনের প্রেমের ক্ষত্রে সাধারণত দৈহিক কিছু সুন্দর্য দেখে প্রেম করা হয় সব প্রেমের বেশির ভাগ যৌন পিপাসা মিটাবার জন্য প্রেম করা হয় , যেখানে হৃদয় উপস্তিত থাকে তবে লোভে পরে একবার তার দেহ ভোগ করে নিতে পারলেই সে ভালবাসার সমাপত্তি ঘটে

.) সমলিঙ্গীয় প্রেম : আমাদের দেশে এখনো খুব একটা প্রচলিত না হলেও বাইরের অনেক দেশেই এই ধরনের প্রেমের প্রচলণ আছে। দু'জন ছেলের মধ্যে হলে তাদেরকে Gay বলে , আর দু'জন মেয়ের মধ্যে হলে Lesbian এই সব প্রেমও যৌন তাড়িত হয়ে থাকে , আবার কিছু ক্ষত্রে ভয়ের কারণে হয়ে থাকে

.) পরকীয়া প্রেম : বিয়ের পর স্বামী বা স্ত্রী ব্যতীত অন্য কোন পুরুষ বা মহিলার সাথে প্রেমকেই পরকীয়া প্রেম বলে
পরকীয়া প্রেমের মূল কারনগুলো হলো :
. সময়ের সাথে সংসার জীবনের প্রতি অনাগ্রহ বা তিক্ততা চলে আসা
. শারীরিক চাহিদা পূরণে স্বামী বা স্ত্রীর প্রতি একঘেঁয়েমি চলে আসা
. শারীরিক চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে স্বামী বা স্ত্রীর অক্ষমতা বা অপূর্ণতা
. নিতান্তই এ্যাডভেঞ্চার-প্রিয়তা, লুকিয়ে প্রেম করার স্বাদ অনুভব করা
মহিলাদের মধ্যে পরকীয়া এদেশে এখনো ততোটা জনপ্রিয় নয় যতোটা পুরষদের মধ্যে। পুরুষদের পরকীয়া প্রেমের ক্ষেত্রে তৃতীয় ব্যাক্তিটি কম বয়সী কোন অল্প বয়সী মহিল এমনকি ক্ষেত্র বিশেষে যুবতীও হয়ে থাকেন। মহিলাদের ক্ষেত্রে তৃতীয় ব্যাক্তিটি সাধারণত কোন মধ্যবয়সী পুরুষ হয়ে থাকেন। ৩০-৪৮ বছর বয়সীদের মধ্যে পরকীয়া প্রেম বহুলভাবে পরিলক্ষিত হয়।

৪। কর্মাসিয়্যাল (Commercial Love )

.) দুধের মাছি প্রেম/অর্থসর্বস্ব প্রেম: "যতোদিন টাকা আছে, ততোদিন সম্পর্ক" - অনেকটা এই নীতির বলে এই ধরনের প্রেম গড়ে ওঠে। অবশ্যই ছেলেরাই টাকা ব্যয় করে থাকে এসব ক্ষেত্রে। ধনীর ঘরের ছেলেদের পক্ষে এই ধরনের সম্পর্ক শিদিন টিকিয়ে রাখা সম্ভব হয়। তবে মোটামুটি আয়ের ছেলেরা খরচের ঠেলায় অল্পদিনেই হাঁপিয়ে ওঠে, সম্পর্কও আর বেশিদিন থাকেনা। তখন ঐসব মেয়েরা অন্য ছেলের খোঁজে বেরোয়। 

.) চড়িয়ে খাওয়া প্রেম/গাধাখাটুনি প্রেম/ঘানি টানা প্রেম: প্রেমিক বা প্রেমিকার কাছ থেকে কোন বিশেষ সুবিধা লাভই ধরনের প্রেমের উদ্দেশ্য ক্লাসের ভালো রেজাল্ট করা মেধাবী ছাত্রটি ক্ষেত্রে জনপ্রিয় শিকার হিসেবে পরিগণিত হয় মেয়েদের মধ্যে ধরনের প্রেমের প্রচলণ বেশি দেখা গেলেও ছেলেদেরকেও মাঝে মাঝে করতে দেখা যায়

.) ভাড়াটে প্রেম/ভ্রাম্যমাণ প্রেম/Roaming প্রেম: ধরনের প্রেমের প্রেমিক বা প্রেমিকারা বলতে গেলে ভাড়া খাটে তারা সকালে একজনের গার্লফ্রেন্ড তো বিকেলে আরেকজনের কোন নির্দিষ্ট ঠিক ঠিকানা নেই ব্যাপারটা অনেকটা মাসে মাসে মোবাইল হ্যান্ডসেট চেন্ঞ্জ(Change) করার মতো

.) ব্ল্যাকমেইল প্রেম/অনিচ্ছাপূর্বক প্রেম/জোড় খাটানো প্রেম: এটাকেও প্রেম বললে পাপ হবে জোড়পূর্বক এসব প্রেম করা হয়ে থাকে এর শিকার হয়ে থাকে মেয়েরাই পাড়ার বখাটে ছেলে বা বড় ভাই , কলেজের বখাটে ছাত্র , কর্মক্ষেত্রে উপরস্থ কর্মকর্তা বা বস প্রধানত এরাই ধরনের সম্পর্ক স্থাপন করে থাকেন এবং মেয়েরা বাধ হয়ে এই সব প্রেমের জালে পা দেয়

.) চুক্তিবদ্ধ প্রেম: ধরনের প্রেম পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে হয়ে থাকে সাধারণ অর্থে প্রেম বলতে যা বোঝায় তা এই ধরনের প্রেমে অনুপস্থিত থাকে কোন ভবিষ থাকেনা এসব সম্পর্কের মূল উদ্দেশ্য হলো কোন বিশেষ গোষ্ঠীকে নিজেদের মধ্যে প্রেম দেখিয়ে কোন বিশেষ স্বার্থ চরিতার্থকরণ শোবিজ মিডিয়ার তারকাদের মধ্যে ধরনের প্রেম বেশি দেখা যায় । 

.) কর্মক্ষেত্রে প্রেম : কর্মসূত্রে দু'জন মানুষের পরিচয়ের মাধ্যমে ধরনের প্রেম গড়ে ওঠে। উক্ত দু'জন হতে পারেন কোন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর দু'জন কর্মকর্তা অথবা কোন প্রজেক্টে পরস্পরের পার্টনার। অফিসে নতুন জয়েন করেছেন এমন কোন য়ের সাথে এরূপ প্রেমের সম্পর্ক স্থাপনের জন্য অফিসের পুরুষ কর্মকর্তাদের মাঝে তাগিদ দেখা যায়। বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে ধরনের প্রেম বেশি দেখা যায়।

৫।  ডিজিটাল প্রেম ( Digital Love)

.) মোবাইল প্রেম : বন্ধুর কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে বা ফোনবুক থেকে চুরি করে, পাড়ার ফ্লেক্সির দোকান থেকে সংগ্রহ করে, অন্য কোন সুত্র থেকে নাস্বার পেয়ে বা নিতান্তই মনের মাধুরী মিশিয়ে কোন নাম্বার বানিয়ে তাতে ফোন করে কোন মেয়ের সাথে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে এই ধরনের প্রেমের সূত্রপাত। অনেক সময় মোবাইলে এভাবে কথা বলে ছেলে মেয়ে পরস্পরের সাথে সামনাসামনি দেখা করে। ধরনের প্রেম সফলতার হার খুবই কম। আসলে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সফলতা ধরনের প্রেমের মূল উদ্দেশ্য নয়।

.) ইন্টারনেটে প্রেম : ইন্টারনেটে চ্যাটিংয়ে বা সোসিয়্যাল মিডিয়া সাইটে (যেমন - ফেইসবুক, মাইস্পেস) দু'জনের পরিচয়ের মধ্য দিয়ে ধরনের প্রেমের সূত্রপাত। অনেক ক্ষেত্রে ছেলে বা মেয়ের একজন বিদেশে অবস্থান করে। এভাবে পরিচয়ের পর ছেলে মেয়ে পরস্পরের সাথে সামনাসামনি দেখা করে। ধরনের প্রেমে উভয়পক্ষেরই ফাঁকি দেয়ার সুযোগ থাকে অনেক। অনেক সময়ই কোন ছেলে মেয়ে সেজে অন্য কোন ছেলের সাথে এমন সম্পর্ক চালিয়ে যায়। আর তাই অনেক ক্ষেত্রেই ধরনের সম্পর্ক প্রতারণায় পরিণত হয়। পূর্বে ধরনের প্রেমের সাফল্যের হার বেশি থাকলেও বর্তমান সময়ে এসে সাফল্যের হার কম। 
 
ব্যর্থ প্রেম () : এবং সবশেষে আছে ব্যর্থ প্রেম প্রেম শুরু হবার আগেই শেষ হয়ে যায় ব্যর্থ প্রেমিকার চাইতে ব্যর্থ প্রেমিকের সংখ্যা কয়েক গুণ বেশি ব্যর্থ প্রেমের শেষটা হয় প্রস্তাব প্রত্যাখান দিয়ে কখনো কখনো ছেলেদের ভাগ্যে জোটে থাপ্পড়, মেয়েদের জুতার বাড়ি আর কখনো কখনো গণধোলাই অনেক সময়ই ব্যর্থ প্রেমের পরিণতি হয় করুন কেউ দেবদাস হয়ে যায়  , কেউবা মেয়েদের ওপর আস্থা হারিয়ে ফেলে "দুনিয়ার সব মেয়ে এক" এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় দুর্বল মানসিকতার কেউ কেউ আত্মহননের পথও বেছে নেয

* প্রেম খুবই পরিবর্তনশীল ব্যাক্তিভেদে এর সংজ্ঞা ভিন্ন হতে পারে আর আমার দেয়া প্রকারভেদগুলোর সাথে কারো কারো দ্বিমত থাকাটা স্বাভাবিক প্রকারভেদগুলো আলোচনার সময় যতটা সম্ভব নিরপেক্ষতা অবলম্বনের চেষ্টা করা হয়েছে । 

*** আমি আমার লেখার জন্য বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানায় নাফিস ইফতেখার ভাই (সামওয়ারইনব্লগ) সুমন ভাই (আমারব্লগ ) কে